আমাদের অনেকের কাছে স্মার্টফোন রয়েছে। কিন্তু অনেকেই তা সঠিক নিয়মে ব্যবহার করেন না। ইলেক্ট্রিনিক্স ডিভাইস ঠিকমতো বা নিয়মমতো ব্যবহার না করলে তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিংবা তা ধীরগতির হতে পারে। নিম্নে স্মার্টফোন ব্যবহারের কয়েকটি নিয়ম দেওয়া হলো:
১. চার্জ চলাকালীন ফোনে কথা বলা কিংবা এর যে কোনো ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
২. স্মার্টফোনের ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ও লোকেশন ফাংশন বা সার্ভিস প্রয়োজন না হলে সবসময় বন্ধ রাখুন।
৩. একাধিক এ্যাপস চালু রাখবেন না। মিনিমাইজড এ্যাপসগুলোর বন্ধ করে রাখুন।
৪. প্রয়োজন না হলে অহেতুক ইন্টারনেট ব্রাউজ করা থেকে বিরত থাকুন।
৫. নিয়মিত ও প্রয়োজনীয় এ্যাপসগুলো আপডেট করুন। তবে সেটের র্যাম, প্রসেসর কম থাকলে বেশি আপডেট না কারাই ভালো।
৬. কম দামী, নকল বা ডুবলিকেট ব্যাটারী ও চার্জার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
৭. গেমস খেলার সময় খেলা ধীর গতি হলে, কিংবা যদি থেমে থেমে যায় বা হ্যাঙ্গ করলে তবে সেই গেমসটি আনইন্সটল করুন।
৮. ফোন সেটটির পর্যাপ্ত তাপ নির্গমন নিশ্চিত করুন। তাই ব্যাগের মধ্যে রাখতে হলে গাদাগাদি করে রাখবেন না। পর্যাপ্ত স্পেস যেন থাকে এমন স্থানে রাখুন। পকেটের মধ্যে অনেক্ষণ রাখতে হলে অপ্রয়োজনীয় সকল এ্যাপস, সার্ভিস (ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ও লোকেশন ফাংশন ইত্যাদি) বন্ধ রাখুন।
৯. অত্যধিক ও অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস, গেমস ইন্সটল করে রাখবেন না।
১০. স্মার্টফোনের র্যামের (ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল মেমোরি) অন্তত: ১৫% ফ্রি রাখুন।
১১. স্মার্টফোনের ওয়াইফাই/হটস্পট ব্যবহার করে প্রতিদিন এবং দীর্ঘক্ষণ ইন্টারনেট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
১২. সেটটি পানিতে পড়ে গেলে বা সেটে পানি পড়ে গেলে দ্রুত এর ব্যাটারী খুলে ফেলুন এবং তা রোদে কিংবা বাতাসে শুকিয়ে নিন। এ ক্ষেত্রে সেটটি সমস্তটা খুলে শুকানো উচিৎ।
১৩. স্মার্টফোন সেট ফুল চার্জ হলে ডিসকানেক্ট করুন।
১৪. সারা রাত সেটে চার্জ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
১৫. শিশুদের কাছ থেকে সেটটি দূরে, উঁচু স্থানে রাখুন।
উক্ত উপায়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে সেট নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে এবং সেটটি দীর্ঘস্থায়ী হয়।