বাল্যবিবাহ অতি প্রাচীন একটি সামাজিক প্রথা। সে সময় মেয়ে শিশুর বয়স দশের গন্ডি না পেরুতেই বিয়ে হতো। ছেলেদেরও খুব অল্প বয়সে বিয়ে হতো। বর্তমান সময়েও এটি বিদ্যমান। বাল্যবিবাহ যে শুধু মেয়ে শিশুর হয় তা নয়, বরং ছেলে শিশুরও অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে থাকে। সেকালে শিক্ষা, বিজ্ঞান ও গবেষণা উন্নত ছিলো না বিধায় বাল্যবিবাহের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে তেমন গবেষণালব্ধ তথ্য ছিলো না। আর সাধারণ মানুষও এ নিয়ে মাথা ঘামাতো না। এই কারণে বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর দিক নিয়ে তেমন কোনো আলোচনাও হতো না। নিচে বাল্য বিয়ের ক্ষতিকর দিকগুলো উল্লেখ করা হলো:
১. বাল্যবিবাহ মাতৃমৃত্যু বৃদ্ধি করে।
৩. বাল্যবিবাহ একটি শিশুর বর্তমান ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
৪. অল্প বয়সে সন্তান জন্ম দিলে মায়েরা অপুষ্টিতে ভোগে, সন্তানও অপুষ্টিতে ভোগে।
৫. বাল্যবিবাহের কারণে মেয়েরা শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।
৬. অল্প বয়সে বিয়ে এবং গর্ভধারণ দু’টোই অত্যন্ত বিপদজনক।
৭. বাল্যবিবাহের ফলে একজন অপুষ্ট মা একজন অপুষ্ট শিশু জন্ম দেয়।
৮. অল্প বয়সে বিয়ে এবং গর্ভধারণ দু’টোই মা ও শিশুর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
৯. বাল্যবিবাহ জাতীয় উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা।
১০. বাল্যবিবাহের ফলে একজন শিশু বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষা, অর্থনৈতিক সক্ষমতা, জীবনমানের দক্ষতা, মানসিক উন্নয়ন, অভিজ্ঞতা অর্জন এবং উন্নত জীবন থেকে।
১১. বাল্যবিবাহ যৌতুক প্রথাকেও উৎসাহিত করে।
১২. বাল্যবিবাহের ফলে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র প্রত্যেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।