নকল ডিম নিয়ে ফেসবুকে একসময় অনেক পোস্ট দেখা যেতো। অনেকে মনে করতো এটা মিথ্যা পোস্ট। কেউ ডিমের বাজার নস্ট করার জন্য এটি করছে। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের কলকাতা ও হুগলিতে নকল ডিম ধরা পড়ার পর ডিম নিয়ে সবাইকে আবারও ভাবিয়ে তুলেছে এবং সর্তকবার্তা দিয়েছে। যদিও দেশে এখনও নকল ডিমের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। ডিমে এখন মারাত্নক ভেজালের খবর সর্বত্র। এই প্লাস্টিকের নকল ডিম আসছে চীন ও মায়ানমার থেকে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্লাস্টিকের ডিম আসল ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। ফলে আসল ডিমের সঙ্গে প্লাস্টিক ডিমের পার্থক্য সহজে বোঝা যায় না। এ ধরনের নকল ডিম যথেষ্ঠ স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। কারণ এতে প্রচুর রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়।
নকল ডিম চেনার উপায়
• ডিম ওমলেট করার সময় ফেটিয়ে কড়াইতে দেওয়ার পরই শক্ত হয়ে যাবে।
• ওমলেট করলে পোড়া প্লাস্টিকের মতো গন্ধ বের হতে পারে।
• ডিমের খোসাটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পুরু।
• ডিম ভাঙার পর সাদা অংশ ও কুসুম এক হয়ে যায় এবং মেশালে কুসুম বা এর রং বেশি মাত্রায় চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
• অনেক সময় সিদ্ধ করলে নকল ডিমের কুসুম শক্ত হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ নকল ডিম ভেঙ্গে কুসুম বের করে হাতে নিলে তা শক্ত ছোট বলের মতো মনে হবে।
• নকল ডিমের রং সাদা এবং তা সাধারণ সাদা ডিমের চেয়ে এই ডিম বেশি ঝকঝকে।
• এর খোসাটি বেশি শক্ত। খোসাটির ভেতর রাবারের মতো ছোট ছোট লাইন থাকে।
• ডিম ঝাঁকালে পানি গড়ানোর মতো শব্দ হয়।
• প্লাস্টিকের ডিমে কোনো গন্ধ থাকে না। অর্থাৎ নকল ডিম ভাঙ্গলে সাধারণ ডিমের মতো এর গন্ধ থাকে না।
• আসল ডিম ভাঙলে মুড়মুড়ে শব্দ হয়। কিন্তু প্লাস্টিকের ডিমে তেমন শব্দ হয় না।
• আসল ডিম ভেঙে রেখে দিলে পিঁপড়া বা পোকামাকড় আসে। কিন্তু নকল ডিমে পোকামাকড় আসে না।
• পুডিং-এ নকল ডিম দিলে পুডিং হবে না। অর্থাৎ পুডিং জমবে না।
• আসল ডিমের খোসার গায়ের যে আঁশ রয়েছে তা নকল ডিমে থাকে না। ডিম সিদ্ধ করলে তা বোঝা যায়।
আসল ডিমের স্বাদ, রং ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ভালো করে লক্ষ্য করুন। কোনো ডিমে সন্দেহ হলে তা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।