মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের কাছে বহুল ব্যবহৃত ও কৌতুহল সমৃদ্ধ একটি সাধারণ শব্দ 3Gএবং 4G। এর অর্থ ‘তৃতীয় প্রজন্ম’ বা “Third Generation”। তবে এটি দিয়ে মানুষের প্রজন্ম বুঝায় না। এটি দিয়ে ‘মোবাইল কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি’র প্রজন্ম বুঝায়। এটিকে ‘মোবাইল টেকনোলোজির’ পর্যায় বুঝায়। যা মূূলত মোবাইল টেকনোলোিজর একটি নেটওয়ার্ক স্টান্ডার্ড বুঝাতে ব্যবহুতহ হয়। সাধারণত ১০ বছর পর মোবাইল কমিউনিকেশনের প্রযুক্তিগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন- 1G উদ্ভাবন হয় ১৯৮১/৮২ সালের দিকে। 2G উদ্ভাবন হয় ১৯৯১ সালে। 3G প্রযুক্তি উদ্ভাবন হয় ১৯৯৮ সালে এবং 4G উদ্ভাবন হয় ২০০৮ সালে। 3G এবং 4G-র মধ্যে মূল পার্থক্য হলো গতি। 3G-তে এর ডাটা ট্রান্সফার হার কমপক্ষে 200 kbit/s (about 0.2 Mbit/s)হয়ে থাকে। অবশ্য ব্যবহারকারী পর্যায়ে এই স্পিড নেটওয়ার্ক ভেদে কিছুটা কম-বেশি পরিলক্ষিত হতে পারে। 4G হচ্ছে 3G-র চাইতে ১০ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন এবং ডাউনলোডের ক্ষেত্রে গড় গতি দ্বিগুণ। অর্থাৎ 4G (15.1Mbit/s) এবং 3G (6.1Mbit/s)। গতির দিক থেকে ৩এ এর মধ্যেও বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে । যেমন-3.5G, 3.7G। মোবাইল কোম্পানি বা অপারেটর অনুযায়ী গতির বৈশিষ্টগত পার্থক্য হতে পারে। উচ্চ গতি সম্পন্ন ডাটা ট্রান্সফার জন্য এই প্রযুক্তি জনপ্রিয়। এতে অনলাইলে ছবি দেখা, গান শুনা, গেমস খেলা, বড় আকারের তথ্য প্রেরণ, ভিডিও কলিং ইত্যাদির জন্য এই প্রযুক্তি অপরীহার্য। প্রতিটি ‘G’ অর্থ নতুন মোবাইল সেটের (স্মার্টফোনের) প্রয়োজন হয় এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের ক্ষেত্রে তাদের নেটওয়ার্ক আপগ্রেড করতে হয়।
