ভিটামিন সি এর প্রধানতম উৎস হচ্ছে লেবু। লেবুতে পেকটিন ফাইবার থাকে যা কোলোন হেল্থ এবং শক্তিশালী এন্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে। লেবু শরীরের পিএইচ (pH) এর ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করে। সকাল বেলা হালকা গরম লেবুর শরবত পরিমিত পান শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ (toxins) বের হতে সহায়তা করে। ইহা হজমে সহায়তা করে এবং বাইল উৎপাদনে সহায়তা করে। সাইট্রিক এসিড, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়ামের একটি বড় উৎস হচ্ছে। লেবুর পটাশিয়াম মস্তিষ্ক এবং নার্ভ সেলের পুষ্ট সাধনে (nourish) সহায়তা করে। যেসব ব্যাকটেরিয়া (pathogenic bacteria) রোগ ও অসুখ-বিসুখ সৃষ্টি করে তাদের বিস্তার ও বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। ইহা ইউরিক এসিড দ্রবিভূত করে বলে গ্রন্থি এবং হাঁটুর ব্যাথা এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। সাধারণ ঠান্ডা সারাতেও লেবু সহায়তা করে। লিভার এনজাইমে শক্তি সরবরাহ করে ইহা লিভারকে শক্তিশালী করে যখন তা খুবই কম শক্তিসম্পন্ন হয়ে যায়। ইহা লিভারে ক্যালসিয়াম এবং অক্সিজেনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। ত্বকের জন্য লেবু বা ভিটামিন সি খুবই উপকারী। ইহা চামড়া কুঁচকে যাওয়া এবং দাগ সারাতে সহায়তা করে। চোখের সুস্বাস্থ্যের জন্য লেবু খুবই উপকারী এবং চোখের বিভিন্ন সমস্যার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। হজমি রস বা হজম শক্তি বৃদ্ধিতেও লেবু সহায়তা করে। অত্যাধিক কাজ করার ঢলে শরীর থেকে অধীন ঘাম ঝরে পড়লে বা শরীর লবণশূণ্য হয়ে পড়লে লেবুর শরবত দারুন কাজ করে। গলার ইনফেকশন বা ক্ষত, বদহজম বা অর্জীণ, কোষ্ঠকাঠিন্যতা, কিডনির পাথর, জ্বর সারাতে লেবু ভালো কাজ করে। একে রক্ত বিশুদ্ধকারকও বলা হয়। প্রত্যহ ও পরিমিত লেবু খাওয়া করা উচিৎ। তবে কোনো কারণে আপনার ডাক্তার আপনাকে লেবু খেতে নিষেধ করলে তা পরিহার করুন।
