এইচআইভি একটি প্রাণঘাতী জীবাণু। এতে আক্রান্ত হলে এইডস হয়। এইডস হচ্ছে দেহের রোগপ্রতিরোধহীন একটি অবস্থা। অর্থাৎ এইচআইভি জীবাণু মানুষের শরীরে প্রবেশের পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এর ফলে শরীরের যে রোগাক্রান্ত অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকে এইডস বলে। এইচআইভি/এইডস যেভাবে ছড়ায় তা হলো-
১. রক্তের মাধ্যমে। অপরের শরীরে যদি এইচআইভি জীবাণু থাকে এবং তার রক্ত যদি গ্রহণ করা হয় তবে এইচআইভি/এইডস ছড়ায়।
২. অপরের ব্যবহৃত নিডিল/সিরিঞ্জ শেয়ারিং করলে।
৩. অন্যের রক্ত মাখা তুলা, গজ, ব্যান্ডেজ ব্যবহার করলে।
৪. অনিরাপদ যৌন মিলনের মাধ্যমে এবং
৫. গর্ভবতী মা থেকে গর্ভস্থ শিশুও আক্রান্ত পারে।
অর্থাৎ দেহনিঃসৃত তরল পদার্থ যথা রক্ত, বীর্য, যোনিরস এবং বুকের দুধের মাধ্যমে এইচআইভি/এইডস ছড়ায়।
ইঞ্জেকশন শেয়ার করে যারা মাদক গ্রহণ করে, যারা অন্যের সাথে অনিরাপদ যৌন আচরণ করে এবং যারা রক্ত পরীক্ষা না করে রক্ত গ্রহণ করে মূলতঃ তাদের এইচআইভি/এইডসে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা খুবই বেশি। তবে সাধরণ জনগোষ্ঠী যে এতে আক্রান্ত হবে না তা ভাবার কারণ নেই। এইচআইভি জীবুণতে আক্রান্ত হওয়ার ১০/১২ বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি বছর পর মানুষ এইডস এ আক্রান্ত হয়। এইচআইভি/এইডস-এর কার্যকরী ঔষধ এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। বিশ্বে এইচআইভি/এইডস আক্রান্তের হার বাড়ছে। তাই এইচআইভি/এইডস সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং অন্যকে সচেতন করা প্রয়োজন।