চাকরি পাওয়ার পূর্ব শর্ত হচ্ছে চাকরির জন্য আবেদন করা। বিজ্ঞাপন দেখে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা, নিয়মাবলী অনুসরণ করে চাকরির জন্য আবেদন করতে হয়। কিন্তু নতুন কিংবা পুরাতন যারাই হোক চাকরির জন্য যারা আবেদন করেন তাদের অনেকেই বেশ কিছু ভুল করে থাকেন। এই সব ভুল আবেদন পত্র বাতিল কিংবা চাকরি পাওয়ার অনিশ্চয়তাকে বাড়িয়ে দেয়। যেমন-
১. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়ে থাকলে তা আবেদন পত্রের সাথে সংযুক্ত না করা।
২. আবেদন পত্রে এবং খামের উপর পদের নাম উল্লেখ না করা।
৩. জীবন বৃত্তান্তের/সিভির সাথে ছবি সংযুক্ত না করা।
৪. পদের বিপরীতে যেসব দক্ষতা, যোগ্যতার কথা উল্লেখ করা হয় সে অনুযায়ী সিভি না সাজানো।
৫. যে মাধ্যমে সিভি বা আবেদন পত্র পাঠাতে বলে সেই মাধ্যমে তা না পাঠানো। যেমন-আবেদন পত্র শুধুমাত্র ডাকযোগে পাঠাতে বললে তা ইমেইল করে পাঠালে তা বাতিল হতে পারে। কিংবা ইমেইল করে পাঠাতে বললে ডাকযোগে পাঠালে তা বাতিল করতে পারে।
৬. আবেদন পত্র অসম্পূর্ণ থাকলে। যেমন- রেফারেন্স ব্যক্তির তথ্য না থাকলে।
৭. আবেদন পত্রের সাথে কাগজ পত্রের তথ্যে অমিল থাকলে বা আবেদন পত্রে ভুল তথ্য দিলে বা তথ্য গোপন করলে।
৮. যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর, ইমেইল ঠিকানা ভুল দেওয়া বা অন্য জনের মোবাইল নম্বর, ইমেইল ব্যবহার করা কিংবা অব্যবহৃত নম্বর দেওয়া।
৯. নির্দ্দিষ্ট তারিখ ও সময়ের পর আবেদন করা।
১০. আবেদন পত্রে জন্ম তারিখ, নামের বানান ভুল করা এবং স্বাক্ষর না করা।
আমাদের অনেকেই আবেদন পত্র প্রস্তুতকে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু উক্ত কারণগুলোর জন্য চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান আপনার চাকরির আবেদন পত্র বাতিল করতে পারেন। তাই ভালোভাবে আবেদন পত্র প্রস্তুত করে পাঠানো উচিৎ।
kinto reference to sobar take na…tyle ki oi application ta ki kora jabe na?.plzz repply diven
রেফারেন্স হচ্ছে পরিচিত কোন ব্যক্তির (আত্নীয় নন এমন) নাম ও ঠিকানা যিনি আপনাকে চিনেন ও জানেন এবং আপনার সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে পারবেন। আপনি যে কারো নাম ঠিকানা (ইমেইল কিংবা ফোন নম্বরসহ) দিতে পারেন। যেমন-শিক্ষক, চাকরিরত হলে সুপারভাইজার, ম্যানেজার, পরিচালক, অথবা অন্য কেউ যিনি কোন প্রতিষ্ঠানে কোন একটি পদে কর্মরত আছেন কিংবা কর্মরত ছিলেন। এটি অবশ্যই লাগবে। যিনি আপনার গুনাগুণ সম্পর্কে ইতিবাচক তার রেফারেন্স হিসেবে দিবেন। এটি আবেদন পত্রের একটি আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু এটি চাকরির নিশ্চয়তা দেয় না।